গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় কিশোরী সিমা আক্তারকে গণধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলার সামুদাবাদ গ্রামে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। বুধবার এ কর্মসূচীতে ভিকটিমের পরিবার ও স্বজনরাও অংশ নেয়। এদিকে এ মামলায় ৮ জন আসামির মধ্যে ইউপি সদস্যসহ
দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা সিমা হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
এসময় সিমার মা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘তিনি একটি ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষী ছিলেন। তাই তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেওয়া হতো। ওই মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তার মেয়ে সিমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় জড়িত সব আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের ফাঁসির দাবি জানান।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি, ওইসব আসামিরা তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দেয়ায় তিনি নিজে এবং তার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তিনি সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গতবছরের ২৪ অক্টোবর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সামুদাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন ১৩ বছরের কিশোরী সিমা আক্তার। সে রাঙ্গাবালী হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী সিমার মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ঘটনার আলামত পেয়ে রাঙ্গাবালী থানা এজাহারভুক্ত করে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, সিমা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এজন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।