দর্পণ ডেস্ক : অবরুদ্ধ ও নির্যাতিত এক গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন ইউএনও। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিত গৃহবধূ রেহেনা পারভীন জানান, সাড়ে ছয় বছর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ধরনিধরদী গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন শেখের ছেলে মজিবর রহমান শেখের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বড় ছেলের জন্মের ছয় মাস পর থেকে নানা অজুহাতে বাড়ির সবাই মিলে তাকে মারধর করত। স্বামী মজিবর রহমানের সঙ্গে শাশুড়ি শাবজান বেগম, ভাশুর ফরিদ শেখ ও আফসার তাকে নির্যাতন করত। মঙ্গলবার সকালে তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ঘরে বন্দী করে রাখে স্বামী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম সাতৈর ইউনিয়নে একটা মিটিংয়ে ছিলাম। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইলা রানি কুন্ডুর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর রেহেনা পারভীনকে উদ্ধার করি। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। রেহেনার দুই শিশুপুত্র তার সঙ্গে রয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।