দর্পণ ডেস্ক : সোমবার চিটাগং ভাইকিংসের কাছে হেরেছে ঢাকা। ১ ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। সে রান্ও নিয়ে নেয় ১ বল বাকি থাকতে ভাইকিংস। নাটকীয় ম্যাচ জিতে চিটাগং।
মঙ্গলবারও আরেক নাটকের জন্ম দেয় ঢাকা। কুমিল্লার বিপক্ষে ১৫৩ রানের বিপক্ষে তাড়া করতে নেমে ঢাকা পা্ওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। মাঝ খানে ভালো খেলে্ও শেষে আবার ধস। কেমন যেন অগোছালো। নাটকীয় জয় পায় কুমিল্লা।
মিরপুরে মঙ্গলবার শক্ত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও বেশ ভুগতে হয়েছে কুমিল্লার। তবে কষ্টে ১৫৩ রানের ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় তামিমরা। এরপর বল হাতে ঢাকাকে ধসিয়ে দিয়ে জয় তুলে নেয় ৭ রানে।
প্রথমে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট করে তামিমের সতর্ক ব্যাটিংয়ে এবং শামসুরের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় কুমিল্লা। শুরুতে অবশ্য দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। শেষটায় থিসারা পেরেরা ভালো ব্যাটিং করে লক্ষটা মোটামুটি ভালো দেয় ঢাকাকে। ডওসন-আফ্রিদি ও জিয়াউর রহমান আরও একটু ভালো করলে রানটা আরেকটু বড় হতো ভিক্টোরিয়ান্সের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করা জাজাই এ ম্যাচেও পথ হারান। শুরুর তিন ম্যাচের পর ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা তিনি। জাজাইয়ের দুর্বলতা যেন পড়ে ফেলেছে দলগুলো। রনি তালুকদার ও নারিনও ফিরে যান দলের ৩০ রানের মধ্যে। আফগান ব্যাটসম্যান রাসুলি এ ম্যাচে ১৫ বলে ১৯ করে ফেরেন। ঢাকা ৫০ রানে হারায় ৪ উইকেট।
সেখান থেকে দলকে ভরসা দেন সাকিব ও আন্দে রাসেল। তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি। রাসেল ২৪ বলে ৪৬ রানের এক ঝড় তোলেন। খেলেন পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চারের মার। এছাড়া সাকিব ১৯ বলে ২০ রান করেন। জীবন ফিরে পেয়েও সুযোগ নিতে পারেননি তিনি। পরে নাঈম ১৪ ও রুবেল ১০ রান করেন। তবে ম্যাচ জেতার জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল না।
কুমিল্লার হয়ে এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। এছাড়া আফ্রিদি দুটি এবং সাইফউদ্দিন ও ওহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট নেন। ঢাকার হয়ে সাকিব ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। রাসেল ও রুবেল হোসেন নেন দুটি করে উইকেট।