দর্পন ডেস্ক : গত ১ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যানকুভার শহর থেকে চীনের শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে আটকের পরেই বেশ কয়েকজন কানাডীয় নাগরিককে আটক করে চীন। কানাডার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চীনে ১৩ জন কানাডীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কমপক্ষে আটজনকে ইতোমধ্যেই মুক্তি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কানাডা সরকারের তরফ থেকে তাদের নাগরিকদের চীনে আটক হওয়ার বিষয়ে জানানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে এদের মধ্যে মাত্র তিনজন কানাডীয় নাগরিকের বিষয়ে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক হওয়া ১৩ কানাডীয় নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন, মাইকেল কভরিগ, মাইকেল স্প্যাভোর এবং কানাডার সরকারি কর্মকর্তা সারা ম্যাকলেভার।
তবে আটক করা হলেও পরে মুক্তি পেয়েছেন ম্যাকলেভার। তিনি একজন শিক্ষক। তিনি মুক্তির পর কানাডায় ফিরেছেন। কভরিন এবং স্প্যাভোর এখনও পুলিশ হেফাজতেই আছেন।
তবে কানাডার তরফ থেকে বলা হচ্ছে মেং এবং কানাডার নাগরিকদের আটক করার মধ্যে স্পষ্ট কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বেইজিংভিত্তিক পশ্চিমা কূটনীতিকরা এবং সাবেক কানাডীয় কূটনীতিকরা বলছেন, এই আটকের ঘটনা চীনের তরফ থেকে কানাডার জন্য ইট মেরে পাটকেল খাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করেছে।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন কারণে চীনে আটক হয়েছেন প্রায় দুইশো কানাডীয়। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে প্রায় ৯শ কানাডীয়কে।