দর্পণ ডেস্ক : সিলেট সিক্সার্সের গাড়ি থেকে নেমেই ডেভিড ওয়ার্নার পাকিস্তানি পেসার সোহেল তানভিরের সঙ্গে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমির মাঠে ঢুকলেন । একটু হকচকিয়েও গেলেন। ছোট মাঠজুড়ে যেন তারকার মেলা। একদিকে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ক্রিকেটাররা অনুশীলনে ব্যস্ত অন্যদিকে রাজশাহী কিংস। এর মধ্যে হাজির হয় রংপুর রাইডার্সও। তাই কোথায় দাঁড়াবেন সঙ্গী ইরফানের কাছে জানতে চাইলেন ওয়ার্নার। সঠিক উত্তর পেলেন না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা পেয়ে গেলেন নিজের পরিচিত অনেক ক্রিকেটারের।

জড়িয়ে ধরলেন, আর মেতে উঠলেন আড্ডায়। এর মধ্যে সেখানে হাজির আরেক তারকা রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস। সেই সঙ্গে দেশি তারকা তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা তো আছেই। এক কথায় মিরপুর স্টেডিয়াম তারায় তারায় মুখর। বছরের প্রথম দিন থেকেই ক্রিকেটারদের পদচারণায় মুখর শেরেবাংলা মাঠ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) যে আর মাত্র একদিন বাকি। সাতটি দলের দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা সকাল থেকেই ব্যস্ত অনুশীলনে।

তবে তারকাদের আগমন এখনো শেষ হয়নি। ওয়ার্নার, হেলসদের সঙ্গে যোগ দিতে আসবেন শহীদ আফ্রিদি, ক্রিস গেইলরা। আর আসার অপেক্ষায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সরা। এরই মধ্যে সিলেটের হয়ে খেলতে এসেছেন ছোট দেশের বড় তারকা নেপালি স্পিনার সন্দিপ লামিচানে। শুধু যে তারকা ক্রিকেটারদের ভিড় তাও নয়, আছেন তারকা কোচরাও। রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ টম মুডি রাজশাহী কিংসের কোচ ল্যান্স ক্লুজনার, সিলেটের ওয়াকার ইউনুস, খুলনার মাহেলা জয়াবর্ধনে। আছেন বাংলাদেশের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ রফিকরাও। যে যার দলের সাফল্যের জন্য যেন মুখিয়ে।

গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন কোচ টম মুডি অবশ্য আগে কি হয়েছে তা নিয়ে পড়ে নেই। তার ভাবনার শুরু নতুন করে। তিনি বলেন, ‘গতবারের শিরোপা পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য। আমরা জানি আমাদের সামনে কতটা কঠোর পরিশ্রম অপেক্ষা করছে। আমরা যারা ম্যানেজমেন্টে আছি, আমরা মুখিয়ে আছি এবারের বিপিএলেও সফল হওয়ার জন্য।’ তবে গেল আসরে খুব সহজেই যে শিরোপা জিতেছে রংপুর তা নয়। তাই নিজের শিষ্যদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন এই কোচ।

মুডি বলেন, ‘আমরা গত বছর বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি কিন্তু পথটা মসৃণ ছিল না। মাঝপথে তো আমরা পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেও ছিলাম। ওই সময়টায় আমাদের সবাইকে শান্ত থেকে পারফর্ম করে যেতে হয়েছে। এবারো একই অবস্থায় পড়লে গতবারের অভিজ্ঞতা আমাদের পক্ষে থাকবে।’

সকালেই অনুশীলন করে কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনের খুলনা টাইটানস। প্রথমবার প্রায় প্রতিটি দলের জন্যই কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল তার দল। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে প্লে অফও খেলে দল। কিন্তু শিরোপার কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এবারো সেই দারুণ স্মৃতিগুলো মনে করে জয়ের আশাই ব্যক্ত করেছেন এই লঙ্কান গ্রেট ক্রিকেটার।

মাহেলা বলেন, আমাদের শেষ বছর ভালো কেটেছে। দলের ছেলেরা সবাই অবদান রেখেছে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা যদি দলগতভাবে সবাই পারফরম্যান্স করতে পারি তাহলে আশা করি জয় আসবেই। আমরা শেষ বছর যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলতে চাই। আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্লে অফ থেকে বাদ পড়ি। এবারো আশা করি ভালো করবো।