দর্পণ ডেস্ক : সকালের কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত আসছে। আর এই শীতে পুরুষদেরও আলাদা করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন আছে। আধুনিক সময়ে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও রূপ সচেতন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে টিন এজার ও কর্মজীবীদের মধ্যে রূপ সচেতনতা বেশি দেখা যায়।

সেভ করার সময় সতর্কতা

যারা সেভ করেন, খেয়াল রাখতে হবে যেন তাড়াহুড়া করা না হয়। এতে ত্বকে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই সেভিং লোশন ফেনা করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। দাড়ির গোড়া নরম হলে তবে সেভ করতে হবে। সেভ করতে অবশ্যই ধারালো ও পরিষ্কার রেজার ব্যবহার করুন।

স্ক্রাবিং

শীতকালে মুখে কালো ছোপ ছোপ পড়ে, তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। মসুর ডাল, কাঁচা হলুদ, নিমপাতা দিয়ে ঘরে বসেই প্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। জলপাইয়ের সঙ্গে নারিকেল তেল, মধু ও পানি মিশিয়ে মুখ-হাত-পায়ে ব্যবহার করতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজিং ব্যবহার

যারা প্রতিদিন সেভ করেন অবশ্যই তাদের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজিংয়ের পর গাঢ় লোশন লাগাতে পারেন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে।

পরিষ্কার মোজা ও অন্তর্বাস ব্যবহার

পুরুষদের সারাক্ষণ জুতা ও অন্তর্বাস পরে থাকতে হয়। তাই প্রতিদিন অবশ্যই পরিষ্কার মোজা ও অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ছত্রাক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

চুল পরিষ্কার

চুলের রুক্ষতা দূর করতে পাকা পেঁপে ও পাকা কলা পেস্ট করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে ১-২ দিন লাগান। চাপাতা ২০-২৫ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে শ্যাম্পু করার পর তা চুলে দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি আপনার চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করবে। এ ছাড়া ভিনেগারের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে সপ্তাহে ১ দিন চুলে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। এতে চুল মসৃণ ও ঝরঝরে হবে।

ঠোঁটের যত্ন

শীতে ঠোঁটের চামড়া উঠে যায় তাই অবশ্যই গ্লিসারিন অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ধূমপান করলে ঠোঁটের বেশি ক্ষতি হয়। তাই এটা এড়িয়ে চলাই ভাল।