দর্পন ডেস্ক : গত ২৮ অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি শপথগ্রহণ করেন ‘ব্রাজিলের ট্রাম্প’ নামে খ্যাত কট্টর ডানপন্থী নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাইর বোলসোনারো। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ কট্টর-ডানপন্থী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন তিনি।
শপথ গ্রহণের পরপরই ‘সমাজতন্ত্রের কবল থেকে স্বাধীনতা’ ঘোষণা করেন জাইর বোলসোনারো। মিত্র উন্নয়নশীল দেশগুলোর বলয় থেকে বেরিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
জাইর বোলসোনারো বলেন, আমরা সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম, পপুলিজম এবং বামপন্থী চরমপন্থার সঙ্গে প্রণয় চালিয়ে যেতে পারি না। বিদ্যমান অস্থিরতা কাটিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোরও অঙ্গীকার করেন তিনি। একইসঙ্গে ব্রাজিলকে পুনরায় একটি ‘মহান রাষ্ট্র’ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন ট্রাম্পের এই ব্রাজিলিয়ান ভক্ত। দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি।
এরই মধ্যে ট্রাম্পের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্রাজিলের ইসরাইল দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন ইস্যুতে ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক’ সমাধানের পক্ষপাতী ছিল ব্রাজিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জাইর বোলসোনারো’র প্রতি আস্থাশীল। এই আস্থার নিদর্শন হিসেবে তার অভিষেকে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
ট্রাম্পের মতো বোলসোনারো’র বিরুদ্ধেও নারী, সমকামী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, কট্টর-ডানপন্থী সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার উত্থানে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটির গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।