দর্পণ ডেস্ক : আজ ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে ‘বিএসআরএফ-সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘নতুন বছরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে’।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন বছরের প্রথম দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে আসেন হাসানুল হক ইনু। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে ওয়েজবোর্ড (নবম) গঠন করেছিলাম তাদের যে রিপোর্ট এসেছে সেটা মন্ত্রিসভায় গেছে। মন্ত্রীদের নিয়ে যে উপ-কমিটি হয়েছে ভোটের আগে সেই কমিটির একটি সভাও হয়েছে। সেই রিপোর্টে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য ওয়েজবোর্ড দিতে হবে বলে নির্দেশনা আছে। সুতরাং ওটা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রশাসনিক কাজটা সম্পন্ন হলে নতুন সরকার এবং তথ্য মন্ত্রণালয় এটা সম্পন্ন করবে। সুতরাং নতুন বছরে আমি আশা করছি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড গঠিত হবে’।

মূলত ওয়েজবোর্ড সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে থাকে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর নিজেদের নতুন বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন সাংবাদিকরা।

পরে সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারিতে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ‘নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড, ২০১৮’ এর সুপারিশ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় যেখানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে শিল্প, স্বরাষ্ট্র, তথ্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী-কে এই কমিটির আওতায় আনা হয়। এক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।

এক্ষেত্রে, সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। আর মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।