দর্পণ ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নতুন বছরের ভাষণে কিম জং উন বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যদি একই রকম ব্যবস্থা নেয় তাহলে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে। কিন্তু আমেরিকা যদি এমন পদক্ষেপ না নিয়ে আমাদের জনগণের ধৈর্য সম্পর্কে ভুল হিসাব করে, আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং বিশ্বের সামনে দেয়া প্রতিশ্রুতি না রেখে উল্টো আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় তাহলে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন কোনো পথ বেছে নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না’।
খ্রিস্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এ ভাষণে কিমের সতর্ক বার্তা দেবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে মঙ্গলবারের এ হুঁশিয়ারির কদিন আগেই স্থগিত পরমাণু আলোচনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমঝোতার বার্তা দেন কিম জং উন। শুক্রবার অনির্ধারিত চ্যানেলের মাধ্যমে কিমের ‘চিঠির মতো’ ওই বার্তাটি ট্রাম্পকে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর ভাষা ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ বা সমঝোতামূলক।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সামনে দেয়া প্রতিশ্রুতি বলতে কিম জং উন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা বুঝিয়েছেন। ওই বৈঠকের পর ট্রাম্প প্রকাশ্য ঘোষণায় বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় এগুলে ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ওই বৈঠককে তিনি ঐতিহাসিক ও সফল বলে উল্লেখ করেছিলেন। বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা স্থগিত করার পরও আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নি।