দর্পন ডেস্ক : ঘুমহীন ৩২ ঘণ্টা, পাড়ি দিলেন ১২৪ কিলোমিটার৷ আর তাই ক্রিসমাসের সকালে নাস্তা সারলেন অ্যান্টার্করটিকার শেষ প্রান্তে, তার গন্ত্যব্যে৷

তিন বছর বয়সি এ অভিযাত্রী যাত্রাপথের এক পর্যায়ে বুঝতে পারলেন বড়দিন কাছকাছি চলে এসেছে৷ মাত্র একদিনের কিছু বেশি সময় হাতে, কিন্তু পথ বাকি ১২৪ কিলোমিটার৷ দৃঢ়চেতা এই ব্যক্তি পণ করলেন বড়দিন উদযাপন করবেন অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেয়ার সফলতা দিয়েই৷

পরিবারের সাথে কাটাতে না পারলেও এবারের ক্রিসমাস কলিনের জন্য ছিল সত্যিই আলাদা৷ কেননা, এ ক্রিসমাসেই তো হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ইতিহাসে লেখিয়েছেন নিজের নাম৷ যাত্রা শুরুর ৫৪ দিন পর, ১,৪৮২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেন তিনি৷

কলিন ও লুইস রুড নামে ৪৯ বছর বয়সি ব্রিটিশ আর্মির এক ক্যাপ্টেন গত ৩ নভেম্বর বরফ ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন৷ ৫৪ দিনের মাথায় কলিন পৌঁছেন তার গন্তব্যে৷ তবে তার সহযাত্রী রুডি তখনো ছিলেন যাত্রাপথেই৷ গন্তব্যে পৌঁছাতে রুডির আরো দু-একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গিয়েছিল৷

এ মহাদেশটি পাড়ি দেয়ার চেষ্টা চলছিল অনেক দিন থেকেই৷ নরওয়ের অভিযাত্রী বোর্গে আউসল্যান্ড ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো শ্বেত ভল্লুকের এ মহাদেশ পাড়ি দেন৷ তবে এ লম্বা পথ পাড়ি দেয়ার সময় তাকে নানা ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছিল৷
‘শেষ ৩২ ঘণ্টা ছিল আমার জীবেনের সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত৷ তবে খুব স্মরণীয় মুহূর্তও৷ একইসাথে আমি আমার লক্ষ্যে মনোযোগী ছিলাম’, তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন কলিন৷ যাত্রাপথের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি টুকে রেখেছিলেন ইন্সটাগ্রামে৷ নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি স্মরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে৷