ইঁদুর কি মদ খায়? না, এ প্রশ্ন করা যাবে না। কারণ, পুলিশ বলছে মদ খেয়েছে ইঁদুরে। আর এক, আধ পেগ নয়, হাজার লিটার মদ নাকি সাবাড় করে দিয়েছে ইঁদুরের দল!
যে রাজ্যে সরকারের হুকুমে জণগণের মদ্যপান নিষিদ্ধ সেখানে কিনা গণেশের বাহনই মাতাল! উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বেরিলি থানায় এক হাজার লিটার বাজেয়াপ্ত মদ রাখা ছিল। থানার মালখানায় সেই মাল হঠাৎ উধাও। ব্যারেল ব্যারেল মদের কোনও খোঁজই নেই। এখন পুলিশের দাবি, সেই সব ‘কারণবারি’ উধাওয়ের কারণ ইঁদুর বাবাজিরা।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, থানার মালখানায় প্ল্যাস্টিকের ক্যানে রাখা ছিল বাজেয়াপ্ত মদ। সম্প্রতি থানার কেরানিবাবু মালখানায় ঢুকে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখেন হাজার লিটার মদ গায়েব। অনেক ক্যানই নেই। কিছু ক্যান থাকলেও তাতে মদ নেই। উলটে ক্যানের তলায় রয়েছে ফুটো। পুলিশ সুপার অভিনন্দন সিংহ জানিয়েছেন, শুধু ফাঁকা ক্যানই নয়, মালখানায় ইঁদুরও দেখেছেন কেরানিবাবু নরেশ পাল। এর পরই মদ ভ্যানিশে অভিযুক্ত ইঁদুরদল।
শুরু হয়েছে তদন্ত। কোন ইঁদুর মদ্যপ তা চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই তদন্ত। ভবিষ্যতে যাতে সেই ইঁদুরেরা মালখানায় প্রবেশের সুযোগ না পায় সেটাই এখন বেরিলি পুলিশের টার্গেট।
ইঁদুরদের পক্ষ কে-ই বা নেবে! কিন্তু তদন্তের আগেই ইঁদুরদের দোষী ঠাউরে নেওয়া নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছেই— সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হলে সে সব নষ্ট করে ফেলাই নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে এত মদ মজুত করে রাখা হল কেন?
মদ্যপানের জন্য ইঁদুরদের কাঠগড়ায় তোলার নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগেই বিহারের কইমুর জেলায় আবগারি দফতরের বাজেয়াপ্ত করা ২০০ ক্যান বিয়ার চেটে ফাঁক করে দিয়েছিল ইঁদুরেরা। সেই তদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।