দর্পণ ডেস্ক : খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। সারাদেশের সব গির্জাসহ খ্রিস্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে দিনটি উদযাপন করছে। মঙ্গলবার সকালে গির্জায় গির্জায় হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।
সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায় প্রার্থনা শেষে আসন্ন নির্বাচনে দেশবাসীর প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধমর্যাজক ঢাকার আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় প্রার্থনা। প্রার্থনা পরিচালনা করেন ফাদার অ্যান্টুনি রিপন গোমেজ। এরপর সকাল ৮টায় দ্বিতীয় প্রার্থনা পরিচালনা করেন আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও। সকাল ১০টায় তৃতীয় ও শেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সান্তাক্লজ শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দে ভরিয়ে তুলছেন দিনটি।
দেশের সব গির্জা সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জার নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেছে।
এই দিনে ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। যাকে নাজারেথের যিশু নামেও অভিহিত করা হয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের লক্ষ্যে তার আগমন ঘটেছিল।
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, র্যাডিশন, লা মেরিডিয়েন, ওয়েস্টিন ও ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে থাকছে বিশেষ অনুষ্ঠান। হোটেলগুলোর লবিতে রয়েছে ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন ও বড়দিনের কেক। সকাল শুরু হওয়া এসব আয়োজন চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। সকালের মতো বিকেলেও শিশুদের জন্য রয়েছে সান্তাক্লজের উপহার অনুষ্ঠান এবং সবার জন্য বুফে ডিনারের ব্যবস্থা।