দর্পন ডেস্ক : দীর্ঘ দুই দশক অপেক্ষার পর তৈরি হল ডাবল ডেকার রেল অ্যান্ড রোড ব্রিজ। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর এই সেতু নির্মাণের দাবি বহুদিন ধরেই করছিলেন আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশের মানুষ।

সেই মতো ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি ডি দেবেগৌড়া রেল- রোড ব্রিজের শিলান্যাস করেন। কয়েক বছর আটকে থাকার পর ২০০২ সালে নির্মাণ কাজের সূচনা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অধুনা প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী। আজ ব্রিজের উদ্বোধন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উদ্বোধনের পরই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। গোটা ব্যাপারটাই অনেকর কাছে প্রত্যাশা পূরণের মতো।

এই ব্রিজের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সূচনা করবেন তিনসুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের, যা সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে। ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার ব্রিজটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।ব্রিজটি তৈরির সময় বাজেট ছিল তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল ব্রিজটির মোট দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে চার কিলোমিটার। এই ব্রিজটি এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেল-রোড ব্রিজ। যার জীবনসীমা অন্তত ১২০ বছর।

ব্রিজটির নিচের স্তরে দু’লাইনের রেল-ট্র্যাক রয়েছে। উপরের স্তরে রয়েছে তিন লেনের রাস্তা। যা দিল্লি ও ডিহব্রুগড়ের মধ্যে রেলপথে যাত্রার সময়সীমা প্রায় তিনঘণ্টা কমিয়ে দেবে।

ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই ব্রিজটি নির্মাণের কাজ চলত বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান মুখ্য স্থপতি মহিন্দর সিং।

ব্রিজটি বানাতে ৩০ লাখ বস্তা সিমেন্ট লেগেছে। যা দিয়ে অলিম্পিকের ৪১টি সুইমিং পুল পুরো ভর্তি করে দেওয়া যাবে। এছাড়া লেগেছে ১৯,২৫০ মিটার ইস্পাত, যা উচ্চতায় মাউন্ট এভারেস্টের দ্বিগুণ।

অরুণাচলের ইন্দো-চীন সীমান্তের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই ব্রিজটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। এই ব্রিজ এতটাই মজবুত যে এর ওপর দিয়ে খুব সহজেই ট্যাঙ্কার যাতায়াত করতে পারবে। অবতরণ করানো যাবে যুদ্ধবিমানও। সূত্র- এনডিটিভি।