পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪৪ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো: নাসির হাওলাদার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪০/৫০ অজ্ঞাত জনকে আসামী করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাসুম খান, মিলন মৃধা, হাসান আকন, কাদের খান, মোকছেদ হাওলাদারকে আটক করেছে। এদের মধ্যে মাসুম খানকে (৩৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকী আসামীদের শনিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মস্তফাপুর গ্রামে বিএনপি কর্মী মাসুম সহ কয়েকজন নৌকার মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাৎক্ষনিক কলাপাড়া পৌরশহর থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. মাসুমকে হাতেনাতে আটক করে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস ‘জয় বাংলা যুব সংঘ ক্লাব’ এর মধ্যে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতা
আলম হাওলাদারের নেতৃত্বে আলমগীর মৃধা, মনির মৃধা, ইউনুচ খান, মুজাম্মেল, রেজাউল খান, মহিব উদ্দিন নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালায় এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি কর্মী মাসুম কলাপাড়া থেকে মস্তফাপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে আসলে তাকেও মারধর করে ক্ষমতাসীনরা। এরপর তাকে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে নিয়ে গেলে বিএনপি সমর্থকরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলে বিপত্তি ঘটে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবং ঐক্যফ্রন্টের (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ’দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাংচুর করা অসম্ভব। বরং এটি সাজানো নাটক। নির্বাচনে বিএনপি যাতে মাঠে না থাকতে পারে তার জন্য পরিকল্পিত এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। এঘটনায় যে মামলা দায়ের হয়েছে তাতে যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন যারা তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এসএম রাকিবুল আহসান বলেন, ’আওয়ামী লীগের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার সঙ্গে জড়িতদের হাতে নাতে আটক করে নৌকার সমর্থকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নৌকার নির্বাচনী অফিস ‘জয় বাংলা যুব সংঘ ক্লাব’ এ হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধান
মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। এতে আমাদের সমর্থক ও নেতা-কর্মী আহত হয়।’

কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এঘটনায় মো. আলম হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার পাঁচ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।