দর্পণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তিনি যা বলেন, তা করেন।

বুধবার দুপুরে মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কবিরহাট উপজেলার ফরাজী বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন।

জনগণের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটের মাঠে জনগণের চেয়ে বড় অস্ত্র, বড় হাতিয়ার আর কিছু নেই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এখন কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। এসব কান্নাকাটির আড়ালে তারা অন্য মতলবে আছেন। জনগণের ভোটেই উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

ভোটের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে একজনের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত যেদিকে যাবে, সেটাই সত্য এবং তার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বলেন, মওদুদ সাহেবের চোখে এখন পানি আর পানি। জনসমর্থন না থাকায় নিজ বাড়িতে বসে শুধু মিডিয়ার কাছে কান্নাকাটি করছেন। তবে উন্নয়নের বাংলাদেশে এখন চোখের পানিতে মানুষের পেট ভরে না। জনগণ তাদের চায় না। তারা ভোটারদের সঙ্গে এক ধরনের ধোঁকাবাজির খেলায় মেতেছে।

তিনি আরও বলেন, মওদুদ আহমদ দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন। এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কোনো কাজ করেননি। করেছেন নিজের জন্য। এ কারণে জনগণ বিএনপির প্রার্থীকে এবারও ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে।

আওয়ামী লীগের আমলে গত ১০ বছরে নোয়াখালীসহ সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাকড়শার জালের মতো রস্তাঘাট রয়েছে। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে জনগণ কী কী সুবিধা ও উপকার পাবে, তাও তুলে ধরেন তিনি।

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান, আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ উল্যাহ, আলা বক্স টিটু, সিরাজ উল্যাহ, ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন।