দর্পণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০০১ সালে ভোলায় বিএনপি যে অত্যাচার করেছে তা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়। এজন্য গত ১০ বছর ধরে বিএনপি প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় আসেনি। এখন মানুষ তাদেরকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতে তৈরি আছে। ধর্ষিতা দাঁড়িয়ে আছে তার বিচারের জন্য, গরুর মালিক দাঁড়িয়ে আছে গরুর জন্য রশি নিয়ে। তাই জনরোষের ভয়ে তারা এলাকায় না গিয়ে ঢাকায় বসে বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় নিয়মিত এলাকায় এসেছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এই পথসভাকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই জাঙ্গালিয়া গ্রামে এক ধরনের ভোটের উৎসব বিরাজ করে। এছাড়া সভার শুরুতেই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি ও বিজেপির প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বর্ষীয়ান এ আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎস করেছেন যার পিতা, সেই জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আবার মানুষ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছে। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদাশীল নেতা হয়েছেন। তাকে মানবতার মা বলা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। ভোলা-৩ আসনের আব্দুল মালেক নামের এক লোকের দুটি চোখ তুলে নেয়া হয়েছে। মায়ের সামনে মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে মরিচের গুঁড়া মেরে পণ্ড করে দিয়েছে। মিলাদ পড়তে দেয়া হয়নি। কিন্তু আমরা ১০ বছরের ক্ষমতায় একজন মানুষের উপরেও অত্যাচার করিনি। পারলে তাদের সাহায্য করেছি।
মন্ত্রী বলেন, ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। সে গ্যাস দিয়ে অনেক শিল্প কলকারখানা হবে। ভোলা হবে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলা। ভোলা হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর। পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করা হবে। নির্বাচনের পরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ আরম্ভ হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তোফায়েল বলেন, আজকে যেই স্কুলের মাঠে সভা হচ্ছে সেটি এমপিওভুক্ত করেছি আমরা। এই কলেজ ভবন আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। এই গ্রামের কাঁচা রাস্তা আমরা পাকা করে দিয়েছি। অন্ধকার গ্রামে বিদ্যুৎ এনে দিয়েছি। মেঘনার নদীর ভাঙন রোধসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছে তার সরকারের গত ১০ বছরে।
ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছগির আহমেদ মাস্টারের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিপ্লব, মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।