দর্পণ ডেস্ক : শুক্রবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিন শতাধিক সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গণভবনে গিয়ে সমর্থন প্রকাশের কয়েক দিন পর বেসামরিক প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তারা সেখানে গেলেন। খবর বাসস, ইউএনবির।
মোট ৩০৭ জন ঊর্ধ্বতন সাবেক কর্মকর্তারা বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য রয়েছেন ৫৭ জন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৯ জন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব রয়েছেন ৭৫ জন। এছাড়া স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১৪ জন, শিক্ষার ১৪ জন, প্রকৌশলী ২৭ জন, বন ও ডাক বিভাগের ১১ জন, কর ও তথ্যের ১১ জন, কৃষি ক্যাডারের ৬৭ জন, পুলিশের ১০ জন এবং টেলিকম, শুল্ক্ক ও আবগারি, অডিট ও অ্যাকাউন্টস, খাদ্য ও রেলওয়ের ১১ জন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃতেৃর প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করতে এসেছি আমরা।’
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্ধকার সময়ে ফিরে যেতে চাই না। আপনার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিণত হবে সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশে।’ আসন্ন নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও ছিলেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মেজবাহ উল আলম ও মেজবাহ উদ্দিন।
সাবেক সচিব ছিলেন ৫০ জন। তারা হলেন আবু তাহের, হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, মাহবুব উল-আলম খান, আবদুল মালেক মিয়া, দেওয়ান জাকির হোসেন, সুনীম কান্তি বোস, আতাহার উল ইসলাম, মো. ওয়াজেদ আলী খান, মো. নুরুল হক, আবদুল মান্নান হাওলাদার, এটিকেএম ইসমাইল, শফিকুল আযম, কামরুন নেসা খানম, মিজানুর রহমান, খোন্দকার আসাদুজ্জামান, কাজী আখতার হোসেন, আরাস্তু খান, এমএ কাদের সরকার, ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, এএইচএম মাসুদ সিদ্দিকী, আজিজুর রহমান, কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, এএলএম আব্দুর রহমান, হুমায়ুন খালিদ, আনোয়ার ফারুক, মনসুর আলী শিকদার, জহুরুল আলম, রীতি ইব্রাহিম, নজরুল ইসলাম খান, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, মিকাইল শিপার, খোরশেদ আলম চৌধুরী, এম এ হান্নান, একেএম আমির হোসেন, নুরুল নবী তালুকদার, ফখরুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, শ্যামল কান্তি ঘোষ, এএম বদরুদ্দোজা, শিরিন আখতার, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, কায়কোবাদ হোসেন, আবু মেহাম্মদ মোস্তফা কামাল, নাজমুল ইসলাম, মমতাজ আলা শাকুর আহমেদ, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ড. পারভেজ ইমদাদ ও শামসুল হক, অশোক মাধব রায় ও প্রশান্ত কুমার রায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মুনির হোসেন ও ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক নোমানুর রশীদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. রাম দুলাল রায়, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থপতি আহসানুল হক স্বপন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী একেএম মমতাজ উদ্দিন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, ডিপিএইচই’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী ও প্রভাস চন্দ্র সাহা বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।
সাবেক রাষ্ট্রদূতরা হলেন সোহরাব হোসেন, এটিএম নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আজিজুল হক, গোলাম মোহাম্মদ, আব্দুল হান্নান, আতিকুর রহমান, ইকতিয়ার চৌধুরী ও ওয়াহিদুর রহমান।
পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি সামসুদ্দোহা খন্দকার, আবদুল মান্নান ও অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া।
গণভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে এ অনুষ্ঠানে সাবেক কর্মকর্তারা প্রবেশের পর আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামও মঞ্চে ছিলেন।