দর্পণ ডেস্ক : গতকাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায গ্রেপ্তার শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার এজাহারভুক্ত এ আসামিকে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়।

গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তবে ওই শিক্ষিকাকে রিমান্ডে নেয়ার কোন আবেদন করা হয়নি।

আদালতে শিক্ষিকার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। তার আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম শুনানিতে বলেন, এ ঘটনায় তার কোন সম্পর্ক নেই। এজাহারে বাদী তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেন নাই।

এর বিরোধিতা করে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জামিন পেলে পলাতক হবে। মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হোক।

হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়ার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আমার কাজ হলো কোনো মেয়ে যদি ঝামেলা করে তাহলে তার বাবা-মাকে নিয়ে প্রিন্সিপালের কাছে দাঁড় করানো। এক্ষেত্রে মোবাইল পাওয়ায় আমি তাই করেছিলাম। অধ্যক্ষ আমাকে যা বলেছেন আমি তাই করেছি। অরিত্রির বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি।

এদিকে ওই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্তে অরিত্রির আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য তাদের চিহ্নিত করার পর বুধবার তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও তাদের এমপিও বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও র‌্যাবকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রাতেই হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি।

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়।