দর্পণ ডেস্ক : মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ভাড়ারা ও আওরঙ্গবাদ ভাউডাঙ্গা গ্রামের এলাকাবাসীরা হাসপাতাল থেকে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত দুইজনের লাশ ময়না তদন্ত শেষ হওয়ার পর মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

মিছিলটি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গ্রামে ফিরে যায়। মিছিলকারিরা বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এবং তার ফাঁসি দাবি করে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাইদ ও জাসদ থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া সুলতান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত পাবনা সদর থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি এবং কোন মামলা হয়নি বলে জানান ওসি ওবাইদুল হক। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় সুলতানের বাড়ির সামনে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সাইদ গ্রুপের লোকজন সুলতানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধহয় অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মালেক শেখ ও লস্কর খাঁ নামের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।