দর্পন ডেস্ক : তেলেঙ্গানা নির্বাচনের আগে কোমর বেঁধে ভোটপ্রচারে নেমেছেন যোগী আদিত্যনাথ। একটু দেরিতে প্রচার শুরু হলেও, বলা যেতে পারে তিনিই এবার এই নির্বাচনের স্টার ক্যাম্পেইনার। এবার তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় এসেছে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপি। ফলে বেশ খানিকটা চাপেই রয়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে তেলেঙ্গানায় দাঁড়িয়ে আসাউদ্দিন ওয়েইসিকে কড়া বার্তা যোগীর। যদিও পাল্টা এক হাত নিতে ছাড়েননি ওয়েইসি।
আগামী ৭ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ১১৯ আসনের তেলেঙ্গানা বিধানসভা। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৯টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে বোঝাপড়া করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি, কিন্তু তা সফল হয়নি। ফলে কিছুটা চাপেই রয়েছে গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতেই জোরেশোরেই তেলেঙ্গানায় ভোটপ্রচারে নেমেছে বিজেপি।
রোববার তান্ডুরে একটি নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। তাতে প্রধান ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। ওই সভা থেকে ওয়েইসিকে উদ্দেশ করে কড়া কথা বলেন যোগী। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি প্রায়ই দাবি করেন ক্ষমতা থাকলে পুরনো হায়দ্রাবাদে তার বিরুদ্ধে লড়ে দেখান মোদি। পাশাপাশি প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে যোগীকে নিশানা করেন তিনি। এবার তার জবাব দিলেন যোগী।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে জেনে রাখুন ওয়েইসিকে তেলেঙ্গানা ছেড়ে পালাতে হবে। ঠিক যেমন নিজাম হায়দ্রাবাদ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। বিজেপি সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কিন্তু কোনো অরাজকতাকে প্রশ্রয় দেবে না।’ তিনি দাবি করেন, ওয়েইসির দল শুধু মুসলিমদের তুষ্টিকরণের জন্য কাজ করে।
এদিকে যোগীর ওই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ওয়েইসিও। তিনি বলেন, ’হঠাৎ করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চলে এলেন। এসেই বললেন, তেলেঙ্গানায় বিজেপি সরকার গড়লে আমাকে তাড়িয়ে দেবে, যেভাবে ওরা নিজামকে তাড়িয়েছিল? আমি প্রশ্ন করতে চাই, তাড়িয়ে দেয়ার কথা কবে থেকে বলা শুরু করলেন। তারিখ তো আপনি জানেন না। ইতিহাসে শূন্য। যদি পড়তে না পারেন তাহলে যারা পড়াশোনা জানে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। পড়াশোনা করলে জানতে পারতেন নিজামরা হায়দ্রাবাদ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। ওদের রাজপ্রমুখ বানানো হয়েছিল। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নিজামরাই সোনা-দানা বিক্রি করে দেশকে সাহায্য করেছিলেন।’
এছাড়াও উত্তর প্রদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওয়েইসি বলেন, ‘ওর বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রতি বছর গড়ে ১৫০টি করে শিশু এনসেফেলাইটিসে মারা যায়। আপনার গোরখপুরের হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। সেইসব চিন্তা না করে এখানে আসছেন। এখানে এসে বিদ্বেষমূলক কথা বলছেন?’
তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তার আগে যোগী বনাম ওয়েইসির বাকযুদ্ধে আরও চড়ছে ভোটের উত্তাপের পারদ।