দর্পন ডেস্ক : শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির বছরে জি২০ সম্মেলন হবে ভারতে। আর্জেন্টিনায় শনিবারই সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে জি২০-র মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকেই প্রমাণ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ইতালিকে অনুরোধ করেন ২০২১ সালে তারা যেন জি২০ সামিটের আয়োজন করে। ভারতকে যেন ২০২২ সালে এ সম্মেলনের ভার দেয়া হয়। কারণ ওই বছরই ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। ইতালি সানন্দে রাজি হয়ে যায়। তাই ২০২২ সালে ভারতে জি২০ সম্মেলন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জি২০ সম্মেলনে প্রথমে আমেরিকা, জাপানের সঙ্গে প্রথমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তথা বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। যার শেষে এই বন্ধুত্বকে নতুন নামও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপান-আমেরিকা-ইন্ডিয়া বা ‘জয়’। তিন দেশের নামের আদ্যক্ষর (জেএআই)। আবার তার অব্যবহিত পরই আর এক দফা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ভারত-রাশিয়া-চীনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ১২ বছর পর ফের তিন দেশের এই যৌথ বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের ডাক দেয়া হয়। গোটা বিশ্বের উন্নয়নের স্বার্থে বহুমুখী বাণিজ্য ও মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির দরকার বলে তারা মন্তব্য করেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দু’দেশের সম্পর্কের প্রত্যক্ষ উন্নতির কথা মেনে নেয় বেইজিং ও নয়াদিল্লি।

শুক্রবার রাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়। তিন দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়া উচিত বলে তিন রাষ্ট্রপ্রধানই মেনে নেন। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতাবস্থা রক্ষায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা একযোগে কাজ করবেন বলেও জানান। বৈঠক শেষে এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। তার দাবি, সন্ত্রাসদমন, বিপর্যয় মোকাবিলা, ত্রাণ ও অন্য বিষয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই না করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার গুরুত্ব সবাই বুঝেছেন। যাতে নিজ নিজ শক্তি অনুযায়ী বিশ্বের উন্নতিতে অবদান রাখা যায়।

তার আগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, তিন নেতার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতাই মোদির উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। বৈঠকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়েও তিন নেতা নিজেদের মতবিনিময় করেন।