এসকে আব্দুল্লা, গুরুদাসপুর (নাটোর) : ডেপুটি জেনারেলের স্বাক্ষর জাল করে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনাপত্র বের করেন ওয়াকিল নামের এক ব্যক্তি। সেই নির্দেশনার বলে প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিবেশি মহর আলীর পুকুরের মাছ এবং ১৫টি মেহগনি গাছ কেটে নেন ওয়াকিল ও তার সহযোগিরা। এরপর থেকে মহর আলীর জমির ফসলহানিসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিও করছেন তারা।
স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সম্প্রতি পুলিশ ওয়াকিলকে আটক করে। পরে অবশ্য তাকে ছেরে দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগি মহর আলী কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে মহর আলী ও প্রতিপক্ষ ওয়াকিলের বাড়ি।
মহর আলী অভিযোগ করেন- ২০১৮ সালের ১মে ডেপুটি অ্যাটর্নি আব্দুস সালাম মন্ডলের স্বাক্ষর জাল করে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনাপত্র নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় জমি দখল করে নেন ওয়াকিল ও তার সহযোগিরা। পরবর্তীতে ওই ‘নির্দেশনাপত্র জাল করা হয়েছে মর্মে’ সিনিয়র সহকারি সচিব (সিভিল-২) এসএম মাসুদ পারভেজ মিস পত্র প্রেরন করা হয়।
এরপর ওয়াকিল, শহিদুল, তারাজুল, শুকুর আলী, আব্দুস সালাম, সমুনসহ ১৫/২০ সর্বশেষ সপ্তাহ খানেক আগে তার পুকুরের মাছ লুট করেন এবং ১৫টি মেহগনি গাছ কর্তন করেন। এঘটনায় তিনি গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিলে স্থানীয়ভাবে আপোষের কথা বলে সময় ক্ষেপন করা হয়।
তিনি বলেন- তার দুই ছেলে নিয়ে তিনি ওই গ্রামে বসবাস করেন। প্রায় বছর পাঁচেক ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তাদের পরিবারের ওপর যুলম নির্যাতন করে আসছেন। এরআগে তার ছেলে ফাহিমকে মারধোর করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় মহর শেখের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার এএসআই আশিক জানান- বিভিন্নভাবে মহর শেখের পরিবারের ওপর যুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ দিয়েছেন মহর শেখ। তার প্রেক্ষিতে মহর শেখের প্রতিপক্ষের লোকজনদের থানায় ডাকা হয়েছে। এব্যাপারে শনিবার ওয়াকিলদের থানায় আসার কথা থাকলেও তারা আসেনি।
প্রতিপক্ষ ওয়াকিল বলেন-স্বাক্ষর জালের বিষয়টি সঠিক আবার সঠিকও নয়। তবে তার মায়ের নামে জমি থাকায় তারা মাছ এবং গাছ কর্তন করেছেন।
চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুট্টু বলেন, ওয়াকিলের সাথে নওপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগি মহর আলী জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ওই সম্পত্তিতে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছে। প্রকৃতপক্ষে সেখানকার কিছু জমি সরকারী হওয়ায় উভয়পক্ষকে সরকারী জমি ভোগ দখলে নিষেধ করা হয়েছে।