দিবাকর সরকার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): ’কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিলাল সিকদার’র ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম ও বেপরোয়া বদলী বানিজ্য’ শীর্ষক সংবাদ গন মাধ্যমে প্রকাশের পর অভিযুক্ত ওই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এর নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জানা যায়, গত ৩ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো: বাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে কলাপাড়া থেকে প্রত্যাহার করে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় বদলী করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালে বরিশাল জেলা থেকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মনিলাল সিকদার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কমিশন, প্রাক- প্রাথমিকের শিক্ষা উপকরনের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কমিশন, আইসিটি প্রকল্পের অর্থ গায়েব, প্রশ্ন প্রত্র বানিজ্য এবং শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদনের ভাতা থেকে কমিশন নেয়া ছাড়াও টাকা ছাড়া কোন কাগজেই স্বাক্ষর করেন না তিনি। একই অর্থবছরে শিক্ষকের বদলী বানিজ্যে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এরপর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২৫ মার্চ’র এক অফিস আদেশে ২৩ জন, ২৯ মার্চ’র পৃথক দু’টি অফিস আদেশে ৬ জন এবং ৩০ মার্চ’র এক অফিস আদেশে ৪ জন শিক্ষককে বদলী করে ফের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এমনকি ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননাকারী শিক্ষিকা মোসা: নুরুন্নাহার বেগমকে শিক্ষা কর্মকর্তা মনিলাল সিকদার পৌরশহরের রাজেন্দ্র প্রসাদ সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলী করে পুরস্কৃত করেন। এছাড়া জন্মগত শারিরীক প্রতিবন্ধী সহকারী শিক্ষিকা রমা রানী রায়’র বদলীর আবেদনে খোদ প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এর ’ব্যবস্থা নিন’ আদেশ অগ্রাহ্য করেন মনিলাল সিকদার। উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিলাল সিকদার ওয়ান ইলেভেনের সময় বরিশাল জেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ঘুষ কেলেংকারীতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। তার বেতন-ভাতা নিয়েও সমস্যা ছিল দীর্ঘদিন।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.