দর্পণ ডেস্ক : সোমবার ভোরে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় ধূপখোলা মাঠের পাশে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় আলোচিত এই সন্ত্রাসী। খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি-ছিনতাইয়ের দুই ডজন মামলার আসামি সে। চলতি মাসেও পুরান ঢাকার দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা চেয়ে হত্যার হুমকি দেয় ইমু।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত সন্ত্রাসী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা জানান, ধূপখোলা মাঠ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। তথ্যটি নিশ্চিত হলে ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের সদস্যরা রাত ৩টার দিকে ওই মাঠের চটপটি গেটে অবস্থান নেয়। তখন সন্ত্রাসীরা ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ডিবি সদস্যরাও গুলি চালালে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী দলের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইমুর মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। তার শরীরে অন্তত ২০টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মর্গে তার কোনো স্বজন আসেনি।