দর্পণ ডেস্ক : রতিদিন খালি পায়ে ঘাসের ওপর কিছুক্ষণ হাঁটলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে মারাত্মক কিছু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-

১. পা সুস্থ রাখে-
খালি পায়ে হাঁটতে পারলে পায়ের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম হয়। এরফলে পায়ে শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেশী মজবুত হয়, পায়ের রগ ও লিগামেন্টস, পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে কোনো কোনো আঘাত নিরাময় হয়, হাঁটুর সমস্যা ভালো হয়, পিঠের সমস্যাও ভালো হয়ে যায়।

২. শরীরের ভারসাম্য রক্ষা পায়-
জুতা পায়ে সবসময় হাঁটলে দেহের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যদি খালি পায়ে হাঁটা হয় তবে পায়ের পেশি ভালোমতো কাজ করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা হয়।এটি দেহের অঙ্গ বিন্যাসকে সঠিক রাখতেও সাহায্য করে।

৩. অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গ ভালো রাখে-
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পাতা, শিরা-উপশিরা, গোড়ালি ইত্যাদি অঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্রনিক পেশির ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা কমে। হাঁটুর ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে খালি পায়ে হাঁটা।

৪. পেশির শক্তি বাড়ায়-
নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটলে পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়। প্রথমে হাঁটতে গিয়ে একটু অস্বস্তি অনুভব হলেও কয়েকদিন এভাবে হাঁটলে পেশিগুলো ভালোভাবে কাজ করে এবং পেশির শক্তি বাড়তে থাকে।

৫. মানসিক চাপ দূর হয়-
অনেকেই মনে করেন পৃথিবীর মাটি- যেখানে ঘাস, লতাগুল্ম ইত্যাদি থাকে সেগুলোর স্পর্শ যদি পায়ের পাতা পায় তাহলে মন চনমনে হয়। তবে আমরা জুতা পায়ে হেঁটে এই অনুভূতি থেকে নিজেদের বিছিন্ন করে ফেলি। খালি পায়ে হাঁটলে প্রকৃতির অফুরান প্রাণশক্তি আপনাকেও স্পর্শ করতে পারে এবং এতে আপনার মানসিক চাপ কিছুটা হলেও দূর হবে। তবে এসব উপকার পেতে অনেকক্ষণ খালি পায়ে হাঁটার দরকার নেই, কেবল নিয়মিত পাঁচ মিনিট হাঁটলেই হবে।

৬. স্মৃতি শক্তি বাড়ায়-
খালি পায়ে কিছুক্ষণ মাটিতে হাঁটলে মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা নিউরনগুলো মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সক্রিয় হয়ে যায়। তখন একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করে।

৭. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়-
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর বেলা, খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পায়ের তলায় থাকা একাধিক প্রেসার পয়েন্টে চাপ পড়তে শুরু করে। এই সব প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে চোখের সরাসরি যোগ রয়েছে। ফলে পায়ের তলায় যত চাপ পরে, তত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে।