দর্পণ ডেস্ক : প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বেশি মাত্রায় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাকসবজি এবং শস্য জাতীয় খাবার যোগ করলে খারাপ কোলেস্টেরল সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। যেমন-
পেঁপে : পেঁপে হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমানও নিয়ন্ত্রন করে।
আপেল : আপেলে থাকা ফাইবার এবং অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগজনিত জটিলতা কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি নিয়মিত খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। ত্বকের সুরক্ষা থেকে শুরু করে হজমশক্তি বাড়াতে আপেল দারুন কার্যকরী।
টমেটো : টমেটোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ,বি, কে এবং সি আছে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে ত্বক এবং হৃৎপিণ্ডও সুস্থ রাখে। পটাশিয়ামের ভাল উৎস হওয়ায় টমেটো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
অ্যাভোকাডো : এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য দারুন উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন-ভিটামিন কে, সি, বি ৫, বি ৬,ই এবং উপকারী ফ্যাট রয়েছে যা হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া অ্যাভোকাডো রক্তে খারাপ এবং ভাল কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ড্রাগন ফল : এই ফলটিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা হৃদরোগকে হ্রাস করতে পারে। এই ফলে রয়েছে আরো একটি উপাদান যা ক্যাপ্টেন নামে পরিচিত এবং এই উপাদান ওষুধ প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়। এর ফাইটোকেমিক্যাল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলির ঝুঁকি হ্রাস করতে খুব উপকারী।