দর্পণ ডেস্ক : ঋণখেলাপিরা যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হবে, প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে একথাই জানান বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনটি স্তরে প্রার্থীদের ঋণের তথ্য যাচাই-বাছাই হবে, চিঠি এরই মধ্যে প্রস্তুত। যেকোনো মুহূর্তে চিঠি পাঠানো হতে পারে।

তফসিলি ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদাভাবে প্রার্থীদের ঋণের তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। এলাকা ভিত্তিক তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ব্যাংকগুলোর শাখা ব্যবস্থাপকরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের তালিকা নেবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সহায়তা দিতে শাখা থেকে একজন কর্মকর্তাকে এ কাজে সমন্বয় করতে বলা হচ্ছে।

ঋণ খেলাপির হালনাগাদ তালিকার সঙ্গে প্রধান কার্যালয় তালিকা মিলিয়ে দেখে যদি কোনো খেলাপি প্রার্থীর সন্ধান পায়, তবে সেসব তথ্য নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং অফিসার, শাখা ব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। সে মোতাবেক কোনো ব্যক্তির যদি এক টাকাও খেলাপি ঋণ থাকে, তার রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। ফলে ছোট-বড় আকারের যে ঋণই থাকুক না কেন তা নিয়মিতকরণ করতে হবে। এবারই প্রথম ব্যাংকে যেকোনো পরিমাণের দায়ে আটকে যেতে পারে প্রার্থিতা।