সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজে জরুরী শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ টাকা প্রত্যাহার ও অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবীতে ছাত্র-ছাত্রীরা শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।কলেজ ছাত্রী নেত্রী রওশন করিম ঋৃতি বলেন, এ টাকা প্রত্যাহার না করলে রবিবার বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে না শিক্ষার্থীরা।কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী আবদুল মান্নান বলেন,কলেজের পাট টাইম শিক্ষক ও কর্মচারীদের এ টাকা থেকে বেতন দিতে হয় বিধায় টাকা নেয়া হচ্ছে।
জানাগেছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে আমতলী ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করন করা হয়।ওই সময় থেকেই কলেজ সরকারী নিয়মনীতি মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার কথা।কিন্তু কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও একাডেমিক কাউন্সিল সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক কলেজ পরিচালনা করে আসছে।সরকারী নিয়মনীতির উর্দ্ধে উঠে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ফি’র নামে টাকা আদায় করছে।ওই কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীতে ৪৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে।এ শিক্ষার্থীরা ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে।দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাছনিক পরীক্ষায় বিভিন্ন খাতে সেশন ফি’য়ের নামে ২০৪০ টাকা আদায় করছে।এর মধ্যে জরুরী শিক্ষক-কর্মচারী তহবিল খাতে ৭০০ টাকা,কলেজ উন্নয়ন খাতে ৩০০ টাকা,পরীক্ষা ফি’র নামে ২৮০ টাকাসহ ১৭ টি খাতে এ টাকা আদায় করছে।
গত তিন দিন ধরে শিক্ষার্থীরা এ টাকা কমানোর দাবীতে অধ্যক্ষের কাছে দাবী করে আসছে কিন্তু অধ্যক্ষ এ টাকা কমাননি।শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের টাকা প্রত্যাহার ও অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবীতে শনিবার শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।শনিবার এ টাকা প্রতাহার না করায় কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করেনি। শিক্ষার্থীদের দাবী টাকা না কমালে তারা রবিবারের বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে না।কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী আবদুল মন্নানের এহোন কর্মকান্ডের বিরোধীতা করছেন কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল।তাদের দাবী একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত না হলেও অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছামত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোঃ রিয়াজ, ইসরাত জাহান,তালহা তাজবিন ও মেহেদী হাসান জানান,কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নিজের ইচ্ছা মাফিক শিক্ষক-কর্মচারী তহবিল নামসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ২০৪০ টাকা আদায় করছে। তারা আরো জানান,সরকারী কলেজে এত টাকা দেব কেন? এ টাকা কমানো না হলে আমরা আগামীকাল বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেব না।তারা দ্রুত এ টাকা কমানোর দাবী জানান।
কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহবুব আলম বলেন,একাডেমিক সভায় সিদ্ধান্ত হয় একরকম আর অধ্যক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় অন্যরকম।ওই সভায় এত টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী আবদুল মান্নান বলেন,একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,অনেক সময় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়।তিনি আরো বলেন,পাটটাইম শিক্ষকদের বেতন পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে।