দর্পণ ডেস্ক : পেনাল্টি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। না হলে আসল ব্যবধান ব্রাজিলের নেইমার-ফিরমিনো কিংবা উরুগুয়ের সুয়ারেজ-কাভানিরা গড়তে পারেননি। দু’দল অবশ্য দারুণ উত্তেজনার ম্যাচ খেলেছে। দারুণ কিছু আক্রমণ করেছে। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নেইমারের পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ওই গোল শুক্রবার রাতের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন তিতের দল।

ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন এ ম্যাচে দারুণ দুটি সেভ করেন। সুয়ারেজের ফ্রি কিকটি ঝাঁপিয়ে ঠেকানো ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া গোলের মুখে কাভানির একটি শট ফেরার লিভারপুলে খেলা এই গোলরক্ষক। তবে নেইমারকে আটকে রাখতে উরুগুয়ে ভিন্ন কৌশলই নিয়েছিল বলতে হবে। পুরো ম্যাচে একাধিক ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ইংল্যান্ডের এমিরেটস স্টেডিয়ামে ছয়টি হলুদ কার্ড দেখেছে উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। কিন্তু তাতেও ১৭ বছর ধরে সেলেকাওদের বিপক্ষে অধরা জয়ের স্বাদ পায়নি তারা।

প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন দল। শুরু থেকেই এগিয়ে যাওয়ার মতো বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় গোল করার মতো দুটি সুযোগ পেয়েছেন পিএসজি তারকা নেইমার। কিন্তু একটি গোল ঠেকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক। অপর শটটি গোল পোস্টে আটকে যায়। পাল্টা আক্রমণে উঠেছে উরুগুয়েও। সুয়ারেজের প্রথমার্ধে নেয়া একটি শট গোলের ওপর দিয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল ম্যাচের ৭৬ মিনিটে স্পট কিক পেয়ে যায়। নিজেদের বক্সে ব্রাজিল খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসেন তারা। খেসারত দিতে হয় পেনাল্টিতে। তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি ব্রাজিল তারকা নেইমার। ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেকাওরা।

ম্যাচে অবশ্য আক্রমণে ব্রাজিল-উরুগুয়ে সমানে সমান ছিল। দু’দলই গোলের লক্ষ্যে চারটি করে শট নিয়েছে। গোলের বাইরে উরুগুয়ে পাঁচটি আর ব্রাজিল চারটি শট নিয়েছে। বছরের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে আগামী ২০ নভেম্বর।