দর্পণ ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের এক দল বিজ্ঞানী অবিরাম প্রচেষ্টায় আছেন কিভাবে মহাকাশে সন্তান জন্ম দেয়া যাই এই স্বপ্নে। ‘স্পেসলাইফ অরিজিন’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে বিজ্ঞানীদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে পারে সম্ভাব্য ২০২৪ শাল নাগাদ। স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে। আর তার পর সেখানেই জন্ম নেবে শিশু।
এই মিশনটির নাম দেয়া হয়েছে, ‘মিশন ক্রেডল’। ‘স্পেসলাইফ অরিজিন’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের এক দল বিজ্ঞানী স্বেচ্ছাসেবী খুঁজছেন, যিনি মহাকাশে সন্তানের জন্ম দিতে ইচ্ছুক। তবে সে ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবীদের পৃথিবীতে দু’জন সুস্থ সন্তানের জন্ম দেয়ার রেকর্ড থাকতে হবে। স্পেস স্টেশনে ৩৬ ঘণ্টার অভিযানের সঙ্গে থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০৩ কিলোমিটার উপরে জন্ম নেবে শিশু।
ভ্রূণের বয়স সাড়ে আট মাস হলে তবেই হবু মা-কে মহাকাশে পাঠানো হবে, তার আগে নয়। অন্তঃসত্ত্বাকে এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মহাকর্ষীয় বলের বাইরে রাখা হবে। ২৫ জন অংশগ্রহণকারীকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে দু’দিনের অভিযানে কোনো না কোনো শিশু জন্ম নেয়।
২০২২ সালে এই নির্বাচন পর্ব শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন, এরকম মহিলাদের নিয়ে যাওয়া হবে। প্রথমে স্পেস স্টিমুলেটরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মেডিকেল স্ক্রিনিং করা হবে।
সংস্থার সিইও কেইস মুল্ডার বলেন, ২০২১ সালে মিশন লোটাসে একটি ইনকিউবেটর নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশে, সেখানে থাকবে, ‘স্পার্ম ও এগস’। ভ্রুণ হঠন হলেই তা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। সে ক্ষেত্রে ইনকিউবেটরে থাকবে স্বাভাবিক মহাকর্ষ। সে ভাবেই তৈরি করা হবে প্রযুক্তি, যাতে ভ্রূণ ভারহীনতায় না ভোগে।
এই প্রকল্পটির স্লোগান হচ্ছে- ‘স্মল স্টেপ ফর আ বেবি’, ‘জায়ান্ট বেবি স্টেপ ফর ম্যানকাইন্ড’