দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের গোলাপগঞ্জে লাশের মিছিল যেন থামছেই না। একের পর হচ্ছে গুপ্তহত্যা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গলাকাটা অবস্থায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। একমাসে উপজেলা থেকে উদ্ধার হয় ৫ অজ্ঞাত লাশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর উপজেলার ভাদেশ্বর থেকে আমজদ আলী (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভাদেশ্বর ইউনিয়নে মাইজভাগ গ্রামে। ৪ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়।
৮ অক্টোবর বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুরে কানাইঘাটের মাওলানা মুহিবুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পর ২৮ অক্টোবর চৌঘরী এলাকার সুরমা নদী থেকে আরেকটি ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এর দুদিনের মাথায় ৩০ অক্টোবর বাঘা ইউনিয়নের তুড়ুগাও গ্রামে সুরমা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় চুনু মিয়া (৫০) নামের আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার উপজেলার রায়গড় (লেচু বাগান) থেকে উদ্ধার করা হয় হাত-পা বাঁধা গলাকাটা অবস্থায় তরুণীর লাশ। এদিন রায়গড়ের লেচু বাগার গ্রামের একটি টিলার পার্শে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। এর পর তারা পুলিশকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ লাশটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পেরণ করেছে।
উদ্ধার হওয়া লাশের হাত-পা বাধাঁ ও গলা কাটা অবস্থায় পড়েছিল। পুলিশের ধারণা কে-বা কারা হত্যা করে এ লাশটি এখানে ফেলে রেখে চলে যায়। তাৎক্ষণিক লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, উদ্ধারের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।