দর্পণ ডেস্ক : ভালোবেসে প্রেমের টানে সুদূর ব্রাজিল থেকে বাবাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন এক যুবতী। ব্রাজিলের নাগরিক জিউলিয়ানা মার্টিন্টি জিওরজিয়ানি (২৮) পেশায় ওই দেশের একটি হাসপাতালে কর্মরত। লাকসামের দোখাইয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আবদুর রব হীরা (৩৫)। এক সময় বাহরাইন প্রবাসী ছিলেন। বাহরাইনে থাকাকালীন চাকরির অবসরে ২০১২ সালে ইংরেজি শিক্ষার উপরে ভর্তি হন আবদুর রব। অনলাইনে পরিচয় হয় জিউলিয়ানার সঙ্গে। এরপর থেকে নিয়মিত দুজনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কথাবার্তা ও প্রেমের আলাপচারিতা চলতো।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জিউলিয়ানা। তার বাবা জিআরলি পেশায় একজন ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার। দুই বোনের মধ্যে বড় সে। মা সিলজিয়া রিগনা। পেশায় একজন গৃহিণী।
প্রেমের পর দুজন সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। কিন্তু বাদ সাধে দুজনের একজন মুসলিম অপরজন খ্রিস্টান। বছরখানেক আগে প্রবাস থেকে আবদুর রব হীরা বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশে আসার পর কাগজপত্র ঠিক করে ব্রাজিল দূতাবাসে জমা দেয়। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় জিউলিয়ানা তার বাবাকে নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় আসেন। এয়ারপোর্টে প্রেমিক আবদুর রব হীরা তার প্রেমিকা জিউলিয়ানা ও তার বাবা জিআরলিকে রিসিভ করেন। ৩ নভেম্বর ঢাকায় একটি কাজী অফিসে উভয়ে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় ৫ লাখ টাকা। বিয়ের পর উভয়ে তার গ্রামের বাড়ি লাকসামে আসেন।
আবদুর রবের বাবা আবুল খায়ের বলেন, এ বিয়েতে তার মা, বড় ভাই সবাই খুশি। ব্রাজিলের মেয়ে আমার ছেলের পুত্রবধূ হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে এক নজর দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমায়। কিন্তু তারা বাড়িতে নেই। ওইদিন রাতে নবদম্পতি গ্রাম থেকে চলে আসেন ঢাকায়। বর্তমানে তারা গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
আবদুর রব জানান, আমার স্ত্রী ও শ্বশুর শিগগিরই ব্রাজিলে ফিরে যাবেন। সেখানে গিয়ে আমার নাগরিকত্বের জন্য কাগজপত্র জমা দেবেন।