ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘হাইয়ান’ জুভিলিন লুয়ানা ও জোয়েল আরাদানার জীবনসঙ্গী, সন্তান, বাড়িঘর সব কেড়ে নিয়েছে।কিন্তু তারা পরস্পরকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকার শক্তি পেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন। লুয়ানা বলেন, ‘যত ঝড়ই আসুক, কোন ব্যাপার না। আমরা এখনো আশাবাদী। কারণ জীবনযাত্রা থেমে নেই তা চলছে।’ খবর এএফপি’র।

এক সাক্ষাৎকারে তারা জানান, ‘আশা ছেড়ে দেয়া কঠিন। আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখার অনেক কিছু রয়েছে। আমরা তা নিয়েই বেঁচে আছি।’

পাঁচ বছর আগে আঘাত হানা ওই ঝড়ের কবল থেকে প্রাণে রক্ষা পান। এটি ছিল দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ টাইফুন।যারা ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন জীবন তাদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক মনে হলেও তারা হার মানেননি।

লুয়ানা ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর আঘাত হানা ঝড়ে তার স্বামী ও ছয় সন্তানকে হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। চারদিকে ধ্বংসস্তুপ আর লাশ ছাড়া কিছুই ছিল না। এমন অবস্থায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে যাচ্ছিলেন।

২০১৪ সালে তিনি এএফপি’কে বলেন, তিনি গলায় ফাঁসি দেয়ার মতো উঁচু কোন কিছু খুঁজে পাননি তাই বেঁচে আছেন। এরপর আরাদানার সাথে তার দেখা হয়। ঝড়ে আরাদানার স্ত্রী ও দুই সন্তান মারা যায়। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক ছিলেন। তিনি কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে ধীরে ধীরে নতুন জীবন শুরু করেন। এখনো প্রতিটি দিন বেঁচে থাকার জন্য তাদেরকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।