দর্পণ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে সাদিয়া আক্তার নামে প্রতিবন্ধী এক পরীক্ষার্থীকে বের করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে , উপজেলার গিলা মুরা গ্রামের ইউনুস মিয়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে সাদিয়া আক্তার মুকন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী। গত বৃহষ্পতিবার বাংলা পরীক্ষা দিতে গেলে স্কুলের শিক্ষক হাবিবুর রহমান তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।
সাদিয়া আক্তার বলে, আমি টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাশ করে ৫০০টাকা দিয়ে জেএসসি পরক্ষিায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করি। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া শুরু হলে আমি স্কুলে একাধিকবার প্রবেশ পত্র আনতে যায়।
তখন প্রধান শিক্ষক আমাকে প্রবেশ পত্র না দিয়ে পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে এসে প্রবেশ পত্র নেওয়ার কথা বলেন। পরে আমি গত বৃহষ্পতিবার সকালে বাংলা পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলে হাবিবুর রহমান স্যার বলেন তোমার প্রবেশ পত্র আসেনি, তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে না।
আগামীতে তুমি পরীক্ষা দিবে এবং তোমাকে বিনামূল্যে পড়ানো হবে। এই কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
এ ব্যাপরে সাদিয়ার বাবা ইউনুস মিয়া বলেন ,আমার মেয়ে একজন প্রতিবন্ধী, সে সরকারীভাবে ভাতা পায় এবং আমি গরীব বলে আগের ইউএনও আমার মেয়েকে বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে যান। তবু আমার মেয়েকে ৫০০ টাকা দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করানো হয়। সে সারা বছর লেখা পড়া করে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় শিক্ষকরা!
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান মাস্টার মোবাইল ফোনে বলেন, তারা মিথ্যে বলছে। আমি পরীক্ষার দিন স্কুলে ছিলাম না।
প্রধান শিক্ষক কামাল আহমেদ বলেন, টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না, সে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করছে। তার বাবা অশিক্ষিত হওয়ায় টেস্ট পরীক্ষার পরে তারা স্কুলে এসে কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। ফরম পূরন করেনি। এখন পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিতে চাইলে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নাই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা মিনার কান্তি হালদার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। সাদিয়া শিক্ষকদের বিচার দাবিতে ইউএনওর কাছে একটি অভিযোগ প্রদান করেছে। তদন্ত করে শিক্ষকরা দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।