দর্পণ ডেস্ক : চীন পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল অর্থাভাবে দুর্দশাগ্রস্ত পাকিস্তানকে। বেইজিং সফরে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।

শুক্রবার চীনের পার্লামেন্ট ভবন দ্য গ্রেট হল অফ পিপল-এ বক্তৃতা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ইমরান বলেন, মাত্র দুই মাস তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। পাকিস্তানের ভাণ্ডারে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় এখন এক ধাক্কায় ৪২ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাকিস্তানের ভাণ্ডারে বর্তমানে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ৭৮০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানকে জরুরি ভিত্তিতে ৬০০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য তথা ‘উদ্ধার প্যাকেজ’ দেবে বলে কথা দিয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু এই পরিমাণ অর্থ কিছুই নয়। পাকিস্তানের বেহাল এবং প্রায় দেউলিয়া দশা চলছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান চীনের কাছেও আর্থিক সাহায্য চাইছে।

জবাবে জিন পিং বলেন, পাকিস্তান চীনের অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। তাই তাদের আর্থিক দুরাবস্থা দূর করতে চীন যথাসাধ্য সাহায্য করবে।

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পাকিস্তানি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, তিন দফায় চীন পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য দেবে। এর মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার দেবে ঋণ হিসাবে। চড়া সুদে সেই ঋণ দেয়া হবে। ৩০০ কোটি ডলার দেয়া হবে পাকিস্তান-চীন অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের জন্য। বাকি অর্থ দেয়া হবে সাহায্য হিসেবে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরব, চীন, আইএমএফের কাছে হাত পেতে আর্থিক দুর্দশা থেকে উদ্ধার পেতে চাইছেন ইমরান। কিন্তু পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য পেলেও ইমরানের সরকারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।

কিন্তু চীন কীভাবে কতটা পরিমাণ সাহায্য করবে তা এদিন ভেঙে বলেননি জিন পিং। চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন তার সাধ্যমতো সাহায্য করবে পাকিস্তানকে।