দর্পণ ডেস্ক : সহকর্মীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও পাগল বলায় হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বরিশাল উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) নার্গিস সুলতানা।

গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সহকর্মীদের এমন আচরণ মেনে নিতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক করেছেন নার্গিস সুলতানা।

শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ আবু নসর মো. নেছার উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, নার্গিস সুলতানা নীতিবান একজন শিক্ষক। কলেজে কোথাও কোনো অনিয়ম দেখলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এসব কারণে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক তার পিছু লেগে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সভাকক্ষে অধ্যক্ষ আবু মো. নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার হাওলাদার, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, প্রদর্শক এনায়েত হোসেন, সহকারী অধ্যাপক (বাণিজ্য) রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক নার্গিস সুলতানাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও পাগল বলে ভর্ৎসনা করেন।

বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নার্গিস সুলতানা। শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক শিক্ষিকাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। শনিবার আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ আবু মো. নেছার উদ্দিন বলেন, শিক্ষকরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটি থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থ শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানার চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম জামাল হোসেন বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এরপর থেকে নার্গিস সুলতানা অসুস্থ। তার খোঁজখবর নেব আমরা।