দর্পণ ডেস্ক : শুরু হয়েছে সংলাপ শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া। এরই অংশ হিসেবে নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নৈশভোজের (ডিনার) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গতকাল রাতে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঐক্যফ্রন্ট নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে টেলিফোন করে এই আমন্ত্রণ জানান।

রাত ৮টার দিকে এই দুই নেতার মধ্যে ফোনে কথা হয়। এ সময় ঐক্যফ্রন্টকে গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান ওবায়দুল কাদের। জবাবে মহসিন মন্টু তার জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সময় দেবেন বলে জানান।

সংবাদ মাধ্যমকে মহসিন মন্টু বলেন, ‘সংলাপের সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে মঙ্গল অথবা বুধবার হতে পারে। আমাদের জোটের ১৫ সদস্য এতে অংশ নিতে পারেন।’

এর আগে সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংলাপের সম্মতির কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংলাপ করতে চান। সংলাপের দরজা সবার জন্য খোলা। শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য বন্ধ থাকে না।’

এর আগে গত রোববার বিএনপিকে নিয়ে জোট করা প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পৃথক চিঠি দেন।

সেই চিঠির বিষয়ে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে সম্মতি দেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের ও পুরো জাতিকে সারপ্রাইজ দেব। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে এই সুখবর জানাব। এ খবরে রাজনীতির মাঠে শান্তির বাতাস বইবে বলে মনে করি।’
এরপরই তিনি সংলাপের বিষয়ে দলীয় সভাপতির সম্মতির কথা জানান।

সংলাপের বিষয়ে ঘোষণার পরই ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে উঠে যান। এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে ঘোষণা দিলাম, এর চেয়ে বড় কোনো ইস্যু নেই। অন্য বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’

এর আগে গত রোববার শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই চিঠি পৌঁছে দেন। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম-মহাসচিব আ ও ম শফিউল্লাহ এ চিঠি দেন।