দর্পণ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিবে চীন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশিদের জন্য চীনের ভিসা সহজ করতে বলা হলে তারা অন অ্যারাইভাল ভিসা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। এর ফলে সময়ের অভাবে কোনো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে না পারলে চীন সরকার তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেবে। চীনের ভিসা পেতে অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কখনও কখনও আবার যথাসময়ে ভিসা পান না। তাই চীন সরকার অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার বিষয়টি ভাবছে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তারা ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও আনসারের ডিজি এবং চীনের ২৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
চীন বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় তারা প্রশংসা করেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন চীনা মন্ত্রী। এছাড়া বৈঠকে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- প্ল্যান অব অ্যাকশন অন ল এনফোর্সমেন্ট ট্রেইনিং কো-অপারেশন, কো-অপারেশন ডকুমেন্ট অন এস্টাবলিশমেন্ট অব জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং সাইনিং অব দ্য লেটার অব এপচেঞ্জ অন পুলিশ ইকুইপমেন্ট এইড।
চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী তিন দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন, সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আসে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও এ সংকট নিরসনে চীনের পক্ষ থেকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক হবে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
চীনের জননিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর সচিবালয়ে উপস্থিত হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় চীনের মন্ত্রীকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশের একটি দলের সালাম নেন ঝাও কেঝি।