প্রতীকী ছবি

দর্পণ ডেস্ক : মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত এক মেয়ে ও তিন ছেলের জনক। স্থানীয় বাজারে তার একটি চা দোকান আছে। গত ২ মাস থেকে প্রতিদিন রাতে সেই চা দোকান বন্ধ করে এসে পরিবারের লোকজনের সাথে রাতের খাওয়া শেষ করতো। কিন্তুর এর মধ্যে প্রায় রাতে সবার অজান্তে তার স্ত্রী ও মেয়ের খাওয়ার মধ্যে সে নেশা বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত। পরে তারা ঘুমিয়ে গেলে ঘুমের মধ্যে মেয়েকে ধর্ষণ করতো সে।

ভিকটিম তার মাকে কয়েকদিন আগে ঘটনা টের পেয়ে বিষয়টি জানায়। এর সূত্র ধরে গত কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত আসার আগে তারা রাতের খাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়তো এবং মা তার মেয়েকে পাহারা দিতো। গত দুদিন আগে অভিযুক্ত তার মেয়ের রুমে গিয়ে ঘুমের মধ্যে ধর্ষণ করার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে তার স্ত্রী।

পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাদের মা-মেয়েকে হত্যা করার হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। কিন্তু এর মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ভিকটিমের।

পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে শনিবার বিকালে ভিকটিম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ছিলোনীয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগেও সে মাদক ও জুয়া খেলার অপরাধে একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, অভিযুক্ত একজন মাদকসেবী ও জুয়াড়ি।

সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত। তাকে রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।