কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের ধানখালী গ্রামে একই বাড়ির ১৪ জন ব্রয়লার মুরগির মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ মহিলাসহ দুই শিশুকে মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছে সাহিদা (২২), রাহিমা (৬০), সানজিদা (৮), রেশমা (২৫), মীম (৯), জাহানারা (৩০) ও রাতুল (১০)। এছাড়া বাড়ি সংলগ্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়েছেন আক্রান্ত আরও সাতজন। এরা হচ্ছে মোরশেদা (৪০), রুশিয়া (৫০), সত্তার (৬০), সোহাগ (২৮), জোসনা (৪০), হালিমা (৫০) ও রিমা (১৮)। এরা সবাই একে অপরের আত্মীয়-স্বজন। আক্রান্তদের স্বজন রিয়াজ হাওলাদার জানান, তাদের এক স্বজন আলফিন শনিবার মারা গেছেন। এরপর থেকে পড়শিসহ আত্মীয়-স্বজনেরা ভাতসহ খাবার সরবরাহ করে আসছিল। ওইসব খাবারের সঙ্গে রোববার ব্রয়লার মুরগির মাংস দিয়ে আক্রান্ত সবাই দুপুরের খাবার খায়। এরপর রাত থেকে অনেকে কমবেশি বমি করতে থাকে। সোমবারে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু মঙ্গলবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সাকমো) চিকিৎসকের কাছে আক্রান্তদের নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যার পরে ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করলে সাতজনের অবস্থার অবনতি ঘটে। মঙ্গলবার রাতে এদেরকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক রেফায়েত হোসেন জানান, ফুড পয়জনিংজনিত কারণে আক্রান্তরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। আতঙ্কের কিছুই নেই। তবে আক্রান্তদের স্বজনরা অভিযোগ করেন সন্ধ্যায় সুমন ডাক্তার ধানখালীতে বসে ইনজেকশন দেয়ার পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান, গ্রামে যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তাও সঠিক ছিল।