দর্পণ ডেস্ক : তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) পাস করেছে ভারত সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই অধ্যাদেশের বলে তিন বার ‘তালাক’ শব্দটি উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ও জরিমানা হতে পারে। এছাড়া, স্ত্রী খোরপোশের আবেদনও করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবার এই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করলেই তাত্ক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপারধে পরিণত হবে।
তালাক-ই-বিদ্দত বা তাৎক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সরকার “দ্য মুসলিম ওম্যান (প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৭” পাশ করিয়েছিল লোকসভায়।
তিন তালাক বিলের সংশোধিত সংস্করণে কেবল তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বা তাঁর নিকটাত্মীয়রাই
অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। এর ফলে, প্রতিবেশী বা যে কেউ অভিযোগ করেই কোনও মুসলিম বিবাহিত পুরুষকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে না। পাশপাশি ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগও থাকছে যা বিলের প্রাথমিক খসড়ায় ছিল না। অর্থাৎ, ইচ্ছা হলে কোনও মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে ফের একসঙ্গে সংসার করতে পারেন। এছাড়া সংশোধিত বিলে, পুলিসের হাতে জামিন দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি। কেবল মাত্র বিচারক বা বিচারপতিই মহিলার বক্তব্য শোনার পর অভিযুক্ত স্বামীকে জামিন মঞ্জুর করতে পারবেন।
তিন তালাক বিলকে সংসদের উভয় কক্ষে সর্বসম্মতভাবে পাশ না করিয়ে সরাসরি অধ্যাদেশের রাস্তায় হাঁটার যে পদক্ষেপ মোদী সরকার গ্রহণ করল, তাতে বিশেষ রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকেই।