দর্পণ ডেস্ক :
ছোটবেলার একটা ছবিকে সঙ্গী করে নিজের মা-বাবা আর জন্মস্থানের খোঁজে প্রায় ১০ দিন ধরে পাবনার বেড়ার বিভিন্ন গ্রাম সস্ত্রীক চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেনিশ নাগরিক মিন্টো কারস্টেন সোনিক। তিনি নিজেও নিশ্চিত নন তার বাড়ি পাবনার বেড়ায়, না অন্য কোথাও। শৈশবের ছবির সঙ্গে পাওয়া টুকরো কাগজের ঠিকানায় ‘নগরবাড়ী ঘাট’ নামক জায়গার খোঁজ করতে করতে এ মাসের শুরুতে পাবনায় পৌঁছান তিনি। এরপর থেকে অবিরাম চলছে মিন্টোর শিকড়ের খোঁজ।
বুধবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মিন্টো নিজের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, গ্রামের বাড়ি কোথায়, কে তার মা-বাবা কিছুই মনে নাই তার। ছয় কিংবা সাত বছর বয়সে একদিন সন্ধ্যার দিকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি থেকে অনেক দূরে চলে আসেন তিনি। পথ চিনতে না পেরে রাস্তার পাশে কাঁদছিলেন। এক ভদ্রলোক তাকে পেয়ে নিজের জিম্মায় রাখেন। পরে ওই ভদ্রলোক তাকে ঢাকার ঠাটারীবাজারের একটি অনাথ আশ্রমে ভর্তি করে দেন। পরে অনাথ আশ্রমের একটি কাগজ থেকে জেনেছিলেন ওই ভদ্রলোকের নাম ছিল চৌধুরী কামরুল ইসলাম। ১৯৭৮ সালে ওলে ও বেনফি নামের ডেনিশ দম্পতি দত্তক নিয়ে ডেনমার্ক নিয়ে যান মিন্টোকে। সেই থেকে ডেনমার্কেই তার বেড়ে ওঠা, বিয়েও করেছেন সেখানে। মিন্টোর ডেনিশ স্ত্রী এনিটি হোলমিহেভ পেশায় একজন অডিওলজিস্ট (শ্রুতি চিকিৎসক)। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মিন্টো একজন চিত্রশিল্পী।
মিন্টোর ডেনিশ স্ত্রী এমিটি জানান, বাংলাদেশের মানুষদের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনিও মনে করেন এত বছর পর স্বামীর মা-বাবা কিংবা স্বজনদের খুঁজে বের করা খুবই দুরূহ কাজ।
মিন্টোকে সহযোগিতা করছে পাবনার প্রশাসনও। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিমা আকতার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার আমরা করছি। এরই মধ্যে তিনি পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.