দর্পণ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে কারাগারে আদালত বসানো যাবে না।
যেকোনো অজুহাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা বিএনপি’র অপকৌশল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে ‘কারাগারে কোর্ট বসানো সংবিধানের লঙ্ঘন’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিবের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন, সংবিধানের কোথায় এটা লেখা আছে যে কারাগারে আদালত বসানো যাবে না।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনা করে, হাজিরার সুবিধা ও বিচারকার্যের সুবিধার জন্য কারাগার প্রাঙ্গণে বিশেষ কোর্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাকে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করা বলে তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জেলের ভিতরেই কোর্ট করে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। বিএনপি নেতারা কি তা ভুলে গেছেন? তিনি বলেন, বয়স বিবেচনায় তার পক্ষে কোর্টে মুভ করা সব সময় হয়তো সম্ভব না।
জিয়া চ্যারিটেবল যে মামলা, সেই মামলাও তো তিনি হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় তাকে হাজিরার সুবিধা করে দেয়ার জন্য এই বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা। এর কারণ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অসুস্থ হলেও তো মামলা চলবেই! জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ১০ বছর বিলম্বিত করেছে। প্রলম্বিত করেছে। এই মামলা অনেক আগেই স্যাটেলড হয়ে যেত, এখানে সরকারের কোনো দোষ নেই। সরকার চেয়েছিল মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। কিন্তু বিএনপির বহুরূপী আইনজীবী, এত বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ আইনজীবীরা, তারা বেগম জিয়ার কেসটা ১০ বছর ধরে চালিয়েছেন। এখন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের যে মামলা, এই মামলাও নানা কৌশলে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিচারকার্য কারো জন্য তো থেমে থাকবে না।
বেগম জিয়া যদি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে না যান তাহলে আদালতের মধ্যে যে কোর্ট সেখানে যেতে তো অসুবিধা হবে না? তিনি বলেন, সব সময় তারা এরকম করতে থাকেন, কোনো একটা অজুহাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করে এবং তারা এই বিষয়টা নিয়েও একটা ছলনার অপকৌশল নিয়েছে। যেটা দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কে আদালতে গেল কে গেল না এটা আদালতের বিষয়। তারা বিচার মানে না, আদালত মানে না, সংবিধান মানে না, এটাই হচ্ছে বিএনপির বৈশিষ্ট্য, এটাই বিএনপির চরিত্র।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার প্রমুখ।
যৌথসভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নেয়া হবে।