দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৪ বছর আজ। ২০০৪ সালের এইদিনে রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে এই নৃশংস হামলার ঘটনাটি ঘটে। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন প্রায় তিনশ জন।
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের ডাকে সেদিন ওই শান্তি সমাবেশ শেষে শান্তি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ামাত্রই শুরু হয় মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলা। ট্রাকমঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত নেতারা মানববর্ম রচনা করে তার জীবন রক্ষা করলেও ২২ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুই ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় গ্রেনেডের আঘাতে আহত শত শত মানুষের বেশিরভাগই দুঃসহ যন্ত্রণাময় জীবনযাপন করছেন এখনও। ইতিহাসের নৃশংসতম এই গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকার্য এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে ২১ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।
দিবসটি উপলক্ষে আজ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।