অনলাইন ডেস্ক : ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সৎবাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । এ ঘটনায় সৎবাবা সোহাগকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, অনাবিল পরিবহনের হেলপার সোহাগ(৪২) নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় ভিকটিম কিশোরীর গার্মেন্স কর্মী মাকে বিয়ে করে কয়েকবছর ধরে বসবাস করে আসছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই সোহাগ নিজ সৎ কন্যাকে তার স্ত্রীর গার্মেন্টস চাকুরির কারনে একা পেয়ে ধর্ষণ করে আসছিল।
কিশোরীর মা জানান, তার আগের ঘরের সংসারে এক কন্যাশিশু রেখে তার স্বামী চলে যান। পরে কোলের শিশুকে নিয়ে সোহাগকে বিয়ে করেন তিনি।
সংসারে অভাবের কারণে গার্মেন্টে চাকরি নেন কিশোরীর মা। অথচ সকালে ডিউটিতে চলে যাওয়ার সুযোগে তার অগোচরে মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল সোহাগ।
সোহাগ মুন্সীগঞ্জের বেতকার এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে অনাবিল পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করে সোহাগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৎবাবাকে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ে করার কথা পুলিশে জানিয়েছে সৎবাবা সোহাগ।
ঘটনাটি প্রকাশ পায় কিশোরীর পেটে ব্যথা উঠলে, ওষুধ সেবনে ব্যথা না কমায় এবং পেট ব্যথার মাত্রা বাড়লে সোমবার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে সৎবাবা জানায়, মেয়ের পেটে কৃমি হয়েছে। তখন মেয়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে প্রকাশ পায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়েকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সৎবাবা সোহাগ এ অপকর্ম করেছে বলে সে জানায়। সে আরও জানায় তাকে তাঁর সৎ বাবা সর্বদা ভয় ভীতি দেখাত এ বলে যে, কাউকে এ ঘটনা বললে তাকে ও তার মাকে ঘর থেকে বের করে দিবে। ছোটবেলায় তার জন্মদাতা বাবা তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় এমনিতেই কিশোরী মেয়েটি ভয় আতঙ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিল।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষক বাবাকে আটক করা হয়েছে। সৎবাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ঘটনা প্রকাশ পায়। । বিষয়টি স্বীকার করে নিজেকে বাঁচাতে সে অন্তঃসত্ত্বা নিজের সৎ মেয়েকে বিয়ের করার কথা জানায় সোহাগ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।