দিবাকর সরকার, কলাপাড়া প্রতিনিধি : সারাদেশে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের পরে পুলিশ সপ্তাহে সকল যানবাহনের কাগজপত্র চেকিংএর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু কলাপাড়ায় অবৈধ যানবাহন বন্ধেও নেই কোন পদক্ষেপ। এমনকি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপকরণকে যান বানিয়ে দুর্ঘটনাসহ সড়ককে লন্ডভন্ড করে দেয়া যানবাহন বন্ধেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা পুলিশসহ কোন প্রশাসন। এর নেই কোন রুট কিংবা রোড পারমিট। কোন যানও নয়। বলারও সুযোগ নেই। তারপরও দৈত্যাকৃতির ছয় চাকার এই যান চলছে ফ্রি-স্টাইলে। কেউ বলছে ট্রলি। কেউ বা মাহিন্দ্রা কিংবা হামজা। এ যানটি কোন রাস্তায় চলাচল করলে আর রক্ষা নেই। খানাখন্দে একাকার হয়ে যায়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এলজিইডির নির্মিত পাকা-কাঁচা অন্তত ৫০ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা করেছে এই দৈত্যাকৃতির যান। অন্তত ২৫টি এমন যান রয়েছে কলাপাড়ায়। সরকারের কোটি কোটি টাকায় নির্মিত গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করে দিয়েছে এসব যান নামের অবৈধ বাহন। এটি বন্ধের জন্য কলাপাড়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলার সভায় একাধিক চেয়ারম্যানরা বহুবার বলেছেন। কিন্তু বন্ধ হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে এটি যারা ব্যবহার করছেন তাঁরা সবাই প্রভাবশালী। মানুষের অভিযোগ কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কের আলীপুর বাজার থেকে মাইটভাঙ্গা পর্যন্ত আনুমানিক ৬/৭ কিমি পাকা সড়ক খানাখন্দে একাকার করে দিয়েছে এই দৈত্যাকৃতির যান। একই দশা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর থেকে নবীপুর পর্যন্ত পাকা সড়কের। এমন কোন ইউনিয়ন নেই যেখানকার অন্তত ৪/৫ কিমি পাকা সড়ক এই ট্রলির চাকায় ভেঙ্গে একাকার হয়নি। কিন্তু কখনও বন্ধ হয়নি এই আজব যান। যেন রাস্তাঘাট ভাঙ্গার যান এখন কলাপাড়ার জনপদে আতঙ্ক হয়ে গেছে। এই যানের চাকায় পিস্ট হয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আদৌ এ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে মানুষ।