প্রতিকী ছবি
কলাপাড়া প্রতিনিধি : বাড়ি-ঘর দখলের ষড়যন্ত্রর অংশ হিসেবে বাড়িতে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি কাটিয়া মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে একই এলাকার সেকান্দার হাওলাদার গং।
এঘটনায় ছালমা বেগম বাদি হয়ে ৭ আগষ্ট রোববার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫৫৭/১৮। মামলায় মো: সেকান্দার হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/২০ আসামীকে আজ্ঞাত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকেল ৫টায় কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে। মামলার এজাহারে বাদি ছালমা বেগম উল্লেখ করেছেন, কলাপাড়া উপজেলাধীন জে.এল নং ২৩ সোনাতলা মৌজায় এস.এ খতিয়ান নং ৫০৯, দাগ নং ২৫৫/২৫৬/২৮৭/৩০০/২২৩৯। জমির পরিমান ৩.১৮ একর। এরমধ্যে আমার দাদা শ্বশুর সুন্দর আলীর নামে আট আনা অংশে রেকডীয় মালিক যাহা আমার শ্বশুর জয়নাল হাওলাদার ওয়ারিশ হিসেবে সহ শরীকসহ স্বত্ব দখলদার মালিক আছেন। তাছাড়া আমার স্বামী মরহুম হারুন আর রশিদ ১৪৯/২০০৯ নং ছাফ কবলা দলিল মূলে সাড়ে ষোল শতাংশ সম্পত্তির স্বত্ত দখলদার মালিক ছিলেন যাহা তাহার মৃত্যূর পর আমিসহ তিন কন্যা স্বত্ব দখলদার নিয়োজিত আছি। আমার স্বামী জীবিত থাকা আবস্থায় বাড়ি-ঘর, পুকুর, বাগান করিয়া এবং পশ্চিম পাশ্বের ওয়াপদা রাস্তা হইতে বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা করিয়া বসবাস করে আসছি।
আমার স্বামীর মৃত্যুার পর আসামীরা এলাকার ধর্ণাঢ্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় আমাকে আসহায় পাইয়া বাড়ি-ঘর দখল করতে ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতে থাকে। এরই ধারা বাহিকতায় গত ৩ আগষ্ট বিকেলে সেকান্দার হাওলাদার, ছিদ্দিকুর রহমানসহ প্রায় ৩০ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি, দা,ছেনা, খোন্তা, কোদালসহ জীবন নাশক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে ও মোয়েদেরকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকী দিয়ে বড়ি থেকে ওয়াপদা রাস্তা পর্যন্ত চলাচলের রাস্তাটি (৭২৭ ফুট পূর্ব পশ্চিমে লম্বা এবং সড়ে ১২ ফুট পাশ ও ৪ ফুট খাড়া) কাটিয়া মাটির সাথে মিশাইয়া প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।