প্রতিকী ছবি

অনলাইন ডেস্ক : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্কুলের টয়লেট থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। উদ্ধারের পর তাকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কে বা কারা মেয়েটির মুখ-হাত-পা বেঁধে স্কুলের বাথরুমে আটকে রেখেছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শুর করেছে।

জানা গেছে, ওই ছাত্রী সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বাসায় প্রাইভেট শেষে সোয়া নয়টার দিকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ৮ম শ্রেণির কোচিং ক্লাস চলছিল। মেয়েটি নিজ শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যবই রেখে টয়লেটে যায়। পরে সাড়ে নয়টার দিকে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা টয়লেট দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখে বিষয়টি সহকারী প্রধান শিক্ষককে জানায়। এ সময় শিক্ষকরা টয়লেটের দরজা খুলে তাকে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। মেয়েটি অসুস্থ থাকায় এখনও রহস্য উদঘাটন করা যায়নি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, আমরা বিষয়টি উদঘাটনে তদন্ত চালাচ্ছি। ওই স্কুলছাত্রী বিদ্যালয়ে কোন নির্যাতনের শিকার কিনা তা তদন্ত করতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: সমকাল