অনলাইন ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খুব বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের দগদগে ক্ষতের মধ্যে থাকা দলের দায়িত্ব নিলেন মাশরাফি। ওয়ানডে অধিনায়কের ছোঁয়ায় টাইগাররা আবার জ্বলে উঠল। তাতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের সহজ জয় পেয়েছে ম্যাশ বাহিনী। জয়টা বাংলাদেশ দলের ‘দগ্ধ শরীরে চাঁদের নবনীর’ মতো প্রলেপ দিয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়নায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তামিমের ১৬০ বলে অপরাজিত ১৩০ রান। সাকিবের ১২১ বলে ৬ চারে ৯৭ রান এবং মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানের সুবোদে উইন্ডিজের সামনে ২৮০ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। তামিম ১০ চার ও তিন ছয়ে ওই ইনিংস গড়েন। এছাড়া আউট হওয়ার আগে মুশফিক মারেন ৩টি চার ও দুটি ছয়। জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাশরাফি, মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিকরা।

ম্যাচের নবম ওভারে ইভান লুইসকে দলীয় ২৭ রানে ফিরিয়ে শুরু করেন মাশরাফি। এরপর ১৩তম ওভারে ৪১ রানে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ক্যারিবিও উইকেট রক্ষক শাই হোপকে এলবিডব্লউয়ের ফাঁদে ফেলেন রুবেল। এরপর ভয়ঙ্কর হতে থাকে গেইল ৬০ বলে ৪০ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন। দলের ৪১ রানে ফিরে যা তিনি।

এরপর চতুর্থ আঘাত হানেন মেহেদি মিরাজ। জেসন মোহাম্মদকে মুশফিকের হাতে কট দিয়ে ফেরান তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে রেখেছে বাংলাদেশ। এরপর দলের ৩৬ এবং নিজের চতুর্থ ওভার বল হাতে নিয়ে পরপর দুই বলে হেটমায়ার এবং রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান মুস্তাফিজ। ১৪১ রানে ৬ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপদে ফেলে দেওয়ার শেষ কাজটি করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি।

তিনি ৩৬তম ওভারে এসে জেসন গোল্ডারকে ফেরান। আর ৩৯তম ওভারে এসে ফেরান মারকুটে আন্দে রাসেলকে। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের নবম উইকেটও তুলে নেন ম্যাশ। ৪০.৪ ওভারে ১৭২ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন হারের অপেক্ষায়। কিন্তু সেখান থেকে দু’শ ছাড়ানো রান করেন জোসেপের ঝড়ো ব্যাটিং। শেষ উইকেটে জোসেপ-বিশু মিলে করেন ৫৯ রান। জোসেপের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৯ রান। আর বিশু করেন ৪০ বলে ২৯ রান। তাতে ক্যারিবিওরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান করতে পারে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন মাশরাফি। তিনি ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ ‍উইকেট। ৮ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ফিজ নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া মেহেদি মিরাজ এবং রুবেল ১টি করে উইকেট নেন।