অনলাইন ডেস্ক :

তাকে দলের পয়া ফুটবলার বলা যেতে পারে। কারণ তিনি ফাইনালে দলের হয় মাঠে নামলে দল হারে না। লুকা মডরিচ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০টি ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার তাতে পরাজয়ের স্বাদ পাননি একটিও। জিতেছেন সবকটি। এই সময়ের মধ্যে তিনি কেবল একটি ফাইনালে শুরুর একাদশে মাঠে নামতে পারেননি। ইনজুরির কারণে সেবার বেঞ্চে কাটাতে হয়েছিল মডরিচের।

সেটাও ২০১৪ সালে ক্লাব বিশ্বকাপে। অবশ্য সর্বশেষ পাঁচ বছরে তার খেলা ফাইনালের মধ্যে একটি হারের স্বাদ তিনি পেয়েছেন। সেটি ২০১৩ সালে কোপা দেল রে’র ফাইনালে। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে সেবার ট্রফিটা জেতা হয়নি রোনালদো-মডরিচদের। মডরিচের অবশ্য ফাইনাল জেতা ওই ১০ ম্যাচই রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। মডরিচ যদি রোববারের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করতে পারেন তবে তিনি তার খেলা ১১ ফাইনালেই জয়ের হাঁসি হাসার কৃতিত্ব অর্জন করবেন।

মডরিচের এর আগে জেতা ১০ ফাইনালের মধ্যে আছে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে জেতা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। এরপর আছে ২০১৪ সালে কোপা দেল রে’র ফাইনাল জিতে শিরোপা উচিয়ে ধরা। মডরিচ ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ইউরোপিয়ান সুপার কাপের ফাইনাল জিতেছেন। এরপর তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ম্যাচটি তিনি চোটের কারণে প্রথম একাদশে ছিলেন না।

এছাড়া দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনালের শিরোপা নির্ধারণ হওয়া একটি ‘সুপারকোপায় হেরেছেন মডরিচ। তবে মডরিচের ছোট্ট একটা আক্ষেপ থাকতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার তার ক্যারিয়ারে এর আগে ১৪টি ফাইনাল খেলেছেন। তবে গোল পাননি কোন ম্যাচে। ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করে সেই আক্ষেপ মেটানোর দারুণ সুযোগ লুকার সামনে। সুযোগ প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়াকে কোন বৈশ্বিক শিরোপা এনে দেওয়ারও। গোল পাক বা না পাক মডরিচ অবশ্যই চান তার দল ফাইনাল জিতুক এবং বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরুক।